শিরোনাম
শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আমদানির খবরে কমেছে পিঁয়াজের দাম

বাজারদর

নিজস্ব প্রতিবেদক ও দিনাজপুর প্রতিনিধি

আমদানির খবরে কমেছে পিঁয়াজের দাম

প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির খবরে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা কমেছে। টানা সাড়ে ৩ মাস পর গত ২৮ ডিসেম্বর পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত। এরপর থেকেই দিনাজপুরের হিলি বাজারের মতো রাজধানীতেও পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ পিঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। নতুন বছরের শুরুতেই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে চালসহ অন্তত ১০ পণ্যের দাম বেড়েছে। এ সব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মসুর ডাল, ব্রয়লার মুরগি, এলাচ, দারুচিনি, জিরা, আমদানি ও দেশি দুই ধরনের আদা,  খোলা সয়াবিন তেল, এক লিটার ও ৫ লিটার ওজনের সয়াবিন, পাম তেল খোলা ও পাম  তেল সুপার।

অপরদিকে হিলি বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা সাহাবুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুদিন আগে পিঁয়াজ বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছি সেই পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি এবং শুক্রবার সেই পিঁয়াজ বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা। আজ-কালের মধ্যে ভারতীয় পিঁয়াজ দেশে আসবে। এ জন্য বাজারে পিঁয়াজের দাম কমেছে। আগে মোকামে যে পিঁয়াজ ১ হাজার ২০০-৩০০ টাকা মণ ছিল ভারতীয় পিঁয়াজ আসার খবরে সেই পিঁয়াজের দাম কমে ১ হাজার টাকায় এসেছে। পিঁয়াজ কিনতে আসা তাজ হোসেন বলেন, ভারতীয় পিঁয়াজ আসছে খবরেই বাজারে দেশি পিঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮-১০ টাকা। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, পিঁয়াজ আমদানিকারকরা ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছেন। দেশের বাজারে দাম ও ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে এলসির সংখ্যা ও পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ। ২ জানুয়ারি থেকে পিঁয়াজ আসা শুরু করবে। পিঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে। এদিকে                 নতুন বছরের শুরুতেই রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম ওঠানামা শুরু করেছে। কমেছে পিঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম। বাজার ঘুরে  দেখা গেছে, খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন ও মাঝারি চাল কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে। চালের কেজি প্রায় ৭০ টাকা ছঁইছুঁই। অবশ্য নতুন বছরে  মোটা চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও তা ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা কেজি। গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিরা ও দারুচিনির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দারুচিনি ও জিরার কেজিতে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা করে। খুচরা বাজারে মাঝারি মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে মসুরের ডালের দাম ছিল ৮০-৯০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আদার দাম  বেড়েছে কেজি ১০ টাকা করে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩২ টাকা হালি ফার্মের ডিম আজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  নতুন দেশি পিঁয়াজে বাজার ভরপুর। আমদানি করা পিঁয়াজও রয়েছে প্রচুর। এতে ভালো মানের দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও এই পিঁয়াজ গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে শীতের সবজি বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বেড়েছে। নতুন করে সবজির দাম না কমলেও ক্রেতারা সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধওে ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। বাজার  ভেদে বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি ৩০ টাকা কেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে। আগের মতো শিমের কেজি ৩০-৫০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। ২০ টাকা কেজি শালগম। মুলা ১০-১৫ টাকা  কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুনের  কেজি ৩০-৪০ টাকা, করলার কেজি ৪০-৫০ টাকা। সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা আঁটি দরে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর