বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শীত গেলেই আবার অভাব

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

শীত গেলেই আবার অভাব

এক সময় তাঁত পল্লীর খট খট শব্দে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেশুরবাড়ি এলাকা মুখরিত ছিল। এখন পুঁজির অভাবে এ শিল্প প্রায় বন্ধের পথে। বাপ-দাদার পেশা ছাড়তে না পারায় ধারদেনা করে কোনো রকম টিকে আছেন তাঁতিরা। অনেকে মহাজনদের কাছে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ব্যবসায় খাটিয়ে লোকসান হওয়ায় ঋণ পরিশোধের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জানা যায়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কেশুরবাড়ি এলাকার ৫০০ পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ বংশানুক্রমে তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তারা আগে শাড়ি-লুঙ্গি তৈরি করলেও বর্তমানে শুধু কম্বল বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গ্রামের প্রতি বাড়িতে ২-৩টি করে তাঁত রয়েছে। তাঁতিরা জানান, গত বছর ৪০ কেজি সুতার দাম ছিল ২২০০-৩২০০ টাকা। এবার সেই সুতার দাম ৪ থেকে ৬ হাজার। ৪০ কেজি সুতা দিয়ে ২০-২২টি কম্বল হয়। কম্বল বিক্রি করে কোনোভাবে আসল টাকা পাওয়া যায়। প্রতি বছর লোকসান হচ্ছে। গত বছর এ সময়ে কম্বল কিনতে পাইকাররা তাঁত পল্লীতে ভিড় করলেও এ বছর পাইকারদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তাঁত কারিগর ধনেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, শীত এলে আমরা এই কম্বল বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাই। কিন্তু গরমের সময় কম্বল তৈরির কাজ থাকে না। তখন শহরে গিয়ে রিকশা চালাতে বা ইটভাটায় কাজ করতে হয়। মালী রানী নামে এক নারী বলেন, তাঁতশিল্পে অনেক পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু সঠিক মজুরি পাচ্ছি না। অন্য কাজ করতে পারি না। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প টিকিয়ে রাখতে ও তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর