বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

লতিরাজ কচু চাষে পাঁচ গুণ আয়

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

লতিরাজ কচু চাষে পাঁচ গুণ আয়

কম সময়ে, স্বল্প পুঁজি ও জায়গায় এবার লতিরাজ কচু চাষে পাঁচ গুণ আয় করছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সফল চাষি জাবের আহমদ। এর আগে সর্যমুখি, ক্যাপসিকাম, নাগা মরিচ, ব্রকলি ও চেরি টমেটো চাষেও সাফল্য অর্জন করেন তিনি। এ বছর লতিরাজ কচুর

সঙ্গে করেছেন মুলা, শিম ও ডাব বেগুনের পরীক্ষামূলক চাষও। সরজমিন জাবেদ আহমদের শীতকালীন সবজি চাষ দেখতে যাওয়া হয় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামে। দেখা যায়, তার বসত বাড়ির পাশে ২৫ শতক জায়গায় লতিরাজ কচু চাষ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেল অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পেয়ে ৩৫/৩৬শ লতিরাজ (বারি পানি কচু-২) কচুর চারা রোপণ করেন তিনি। রোপণের দুমাসের মাথায় লতি ও নতুন চারা দিতে শুরু করে গাছ। এ পর্যন্ত কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে লতি ও ২ টাকা দরে আশানুরূপ লাভে বিক্রি করেছেন চারা গাছ। তিনি আরও জানান, কচু চাষে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এখন এ ক্ষেত থেকে সপ্তাহে উৎপাদন হবে প্রায় ৯০/১০০ কেজি লতি। যার বাজার মূল্যে ৫ হাজার টাকা। ক্রমান্বয়ে ৫ মাস পর্যন্ত কেবল লতি বিক্রি হবে লক্ষাধিক টাকার। এ ছাড়াও ৫০/৬০ হাজার টাকার চারা বিক্রিরও টার্গেট রয়েছে তার। ঠিকমতো ফলন হলে খরচ বাদে এ প্রজেক্ট থেকে আয় হবে তার প্রায় পাঁচগুণ।

তিনি বলেন, আয়রণে ভরপুর অসাধারণ সুস্বাদু এ সবজির চাহিদা বাড়ছে। এ গুলো চাষে অর্থ ও পরিশ্রম বেশি লাগে না। রোপণের পর সপ্তাহে একদিন একজন শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কচু সবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি, পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুুক্ত। উৎপাদনে খরচ কম, রোগবালাইও কম। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলায় পানি কচু, লতি কচু, মুখি কচু, নতুন জাতের গোল আলু (বারি আলুু ২৫-এস্টারিক্স), মিষ্টি আলুর আবাদ বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান আছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের উচ্চমূল্যের কন্দাল ফসল আবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর