শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মাস্টারমাইন্ড শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, সন্দেহ ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। জড়িত সন্দেহে তার সহপাঠীসহ চারজনকে আটক করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে গতকাল বিকাল সোয়া ৪টায় ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, শারীরিক সম্পর্কের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে। শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানায়, শারীরিক সম্পর্কের কারণে শরীর থেকে ওই শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেটের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে রমনা ডিভিশনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীর শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেলে রাখা হয়েছে।’

এ ঘটনায় আনুশকার পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের বাসা ধানমন্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বেলা ১২টার দিকে সে বাসা থেকে বের হয়। পরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বন্ধু তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার চাচাতো দুলাভাই শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিকাল চারটার দিকে এক ছেলেবন্ধু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে হয়তো কোনো সম্পর্ক ছিল। আমাদের ধারণা তাকে অত্যাচার করে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় পরিবারের সবাই হতভম্ব।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করি আমরা। এরপর পরিবার ও অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্য পাই। তার সঙ্গে কারোর শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকতে পারে। যার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।’

সর্বশেষ খবর