শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিই বড় প্রশ্ন

-ডা. বিধান রঞ্জন পোদ্দার

প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিই বড় প্রশ্ন

প্রযুক্তির ব্যবহার আরও এগিয়ে যাবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু যাদের ওপর প্রযুক্তিকে সঠিক ব্যবহার করার দায়দায়িত্ব আছে তাদের নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিই বড় প্রশ্ন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. বিধার রঞ্জন রায় পোদ্দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষের একটি বড় অন্তর্গত প্রবণতাই হচ্ছে অন্যের কাছে নিজেকে জাহির করা- সেটা যেভাবেই হোক না কেন। এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মানুষে মানুষে যোগাযোগ অনেক সহজ করে দিয়েছে। ফলে তরুণ প্রজন্ম এতে সহজেই প্রলুব্ধ হচ্ছে। এর মাধ্যমে আবেগতাড়িত হয়ে নানা অপকর্ম করছে। কিন্তু নিজের আচরণের মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি হচ্ছে কি না- এই বোধ তরুণদের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজ করে না। আর প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে হচ্ছে কি না- তা প্রাথমিকভাবে নজরদারি করার দায়িত্ব পরিবারের।

এই মনোচিকিৎসক বলেন, দেশের ১৭ শতাংশ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে বড় একটি অংশই মাদকাসক্ত এবং ইন্টারনেট-স্মার্টফোনে আসক্ত। প্রতিনিয়ত এ ধরনের অসংখ্য ছেলেমেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য অভিভাবকরা মনোচিকিৎসকদের কাছে যাচ্ছেন। এদের অনেকেই ভীষণভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে এবং একটি বড় অংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যারা প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন তারা অনবরত গবেষণা করেন- কীভাবে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করা যায়। এজন্য তারা এমনভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি তৈরি করেন বা মানুষকে ব্যবহার করতে দেন- যেন ব্যবহারকারী এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যতটা সচেতন হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন, তা নিশ্চয়ই কম বয়সীদের কাছে আশা করা যায় না।  

সর্বশেষ খবর