মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

গাছে বেঁধে নারীকে বর্বর নির্যাতন

দুধ খেতে দেওয়া হয়নি শিশুকেও

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

গাছে বেঁধে নারীকে বর্বর নির্যাতন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় চোর সন্দেহে বর্মণ সম্প্রদায়ের এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে সন্ধ্যা রানী (৩৫) নামে ওই নারী পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। তিনি উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালিরচালা গ্রামের নারায়ণ বর্মণের স্ত্রী।

আসামিরা হলেন- মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, তার দুই ছেলে মোস্তফা ভূইয়া ও সজিব ভূইয়া এবং দুই মেয়ে মোছা. খুকি ও সুমি আক্তার। মামলার বিবরণে জানা যায়, সন্ধ্যা রানীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আসামিদের সন্তানদের সঙ্গে তার ছোট ছেলে পলাশ (৮) খেলাধুলা করত এবং ঘুড়ি উড়াত। ঘটনার ১৫ দিন আগে পলাশ ১ নম্বর আসামি মনিরুল ইসলাম ভূইয়ার বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পত্রিকা নিয়ে আসে এবং তার সন্তানদের সঙ্গে ঘুড়ি উড়ায়। হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরি যায়। পরে গত ৩ জানুয়ারি পলাশকে তারা ধরে নিয়ে মারধর করেন এবং মালামাল চুরি করে তার মায়ের কাছে জমা দিয়েছে এ ধরনের কথা বলতে বলে। তা না হলে তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে পলাশ স্বীকারোক্তি দেয়। পরে শনিবার মামলার ৪ এবং ৫ নম্বর আসামি সন্ধ্যা রানীর বাড়িতে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে করিম ভূইয়ার বাগানে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পাঁচ আসামি মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি মোস্তফা ভূইয়া বলেন, আমার ছোট বোনের গহনা চুরি করে সন্ধ্যা রানীর ছেলে পলাশ। সে চুরি করা গহনা তার মায়ের কাছে জমা দেয়। বারবার চাইলেও তারা দেয় না। তাই আমার ছোট বোন সুমি সন্ধ্যা রানীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আমরা কিছু জানি না। এলাকাবাসী মহানন্দ চন্দ্র বর্মন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে জানান, প্রায় ৪ ঘণ্টা সন্ধ্যা রানীকে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় তার ৬ মাসের শিশু সন্তান অনবরত কান্নাকাটি করেছে। এর মধ্যে শিশুটিকে তারা তার মায়ের বুকের দুধও খেতে দেয়নি। পরে দুই বন্ধুর সহযোগিতায় সন্ধ্যা রানীকে উদ্ধার করি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর