বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পুলিশকে মারধরের অভিযোগ যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা আটক, পরে মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর ও অপহরণচেষ্টার অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে গতকাল বেলা ২টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের জিম্মায় যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টিই গতকাল যশোরে ছিল টক অব দ্য টাউন। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান সাদা পোশাকে পুরাতন কসবা এলাকায় শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী সেখান থেকে তাদের চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান নিজের পরিচয়পত্র দেখান। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা তাকে পাশের আবু নাসের ক্লাবে নিয়ে যান। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য জানান, খবর পেয়ে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু সেখানে যান। তিনি পুলিশ কনস্টেবলকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তাকে রিকশার পা-দানিতে বসিয়ে পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় নিয়ে যান। এ সময় ইমরানকে প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ মিনার এলাকা ও কাঁঠালতলায় ছুটে যান। একপর্যায়ে যারা ইমরানকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারা আবার তাকে শহীদ মিনার এলাকায় রেখে যান। এ ঘটনায় রাতে পুলিশ মাহমুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে তাদের আটক দেখানো হয়েছে কি না সে ব্যাপারে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এদিকে বিপুর মুক্তি দাবিতে যশোর সদর, কেশবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। শেষে গতকাল বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের জিম্মায় মাহমুদ হাসান বিপুকে যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান বিপু। সেখানে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সুষ্ঠু মীমাংসা করতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর