পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুলশিক্ষক সমীরণ মজুমদার হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দীপঙ্কর রায়, খোকন সেখ ও নুরুল ইসলাম সেখ। এ ছাড়া মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাত ২টায় নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাংগা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে স্কুলশিক্ষক সমীরণ মজুমদার (৫০) এর ঘরে সিঁদ কেটে ঢুকে দুজন আসামি ঘরের দরজা খুলে সমীরণকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দীপঙ্কর রায়, খোকন সেখ ও নুরুল ইসলাম সেখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে সমীরণের ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় পাশের রুমে ঘুমানো তার স্ত্রী স্বপনা বসু ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে তাকে রক্ষার জন্য বাইরে বের হয়ে বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে লোকজন এসে আহতদের প্রথমে নাজিরপুর হেলথ কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই সমীরণ মারা যান। পরবর্তীতে সমীরণের স্ত্রী স্বপনা নাজিরপুর থানায় হত্য মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ জজ তার আদেশে আরও উল্লেখ করেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি খান মো. আলাউদ্দিন জানান, মামলায় মোট সাতজন আসামি ছিল। মোট ২৩ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১ নম্বর আসামি পূর্বেই জামিনে বের হয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি ছয় আসামি রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল ও মো. দেলোয়ার হোসেন। উল্লেখ্য, এ মামলায় আসামি দীপঙ্কর রায় ও নুরুল ইসলাম সেখ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।