শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
মূল্য নিয়ে গণশুনানি

এলপিজি প্রতি কেজির দাম ৭২ টাকা করার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর মূল্যায়ন কমিটি সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)’র দাম কেজিপ্রতি অভিন্ন করার সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিটি।

গতকাল রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো এলপিজির   মূল্য নির্ধারণে এক গণশুনানির আয়োজন করা হয়। সেই শুনানিতে এলপিজির দাম নির্ধারণে এই সুপারিশ করা হয়। তবে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা সুপারিশ করা হলেও সরকারি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯০২ টাকা আর বেসরকারি কোম্পানির একই সিলিন্ডারের দাম ৮৬৬ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এই শুনানি পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, সরকারি কোম্পানি তাদের সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু  মূল্যায়ন কমিটি তাদের সিলিন্ডারের দাম আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৯০২ টাকা, আর বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারের বর্তমান দাম ১২৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৬৬ টাকা করার সুপারিশ করেছে। এই শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সরকারি কোম্পানির পক্ষে এলপি গ্যাস লিমিটেডের ফজলুর রহমান এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পক্ষে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল  এলপিজির প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে বসুন্ধরা, ওমেরা, বেক্সিমকো এবং পেট্রোম্যাক্সের  প্রতিনিধিরা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের কারিগরি কমিটি সরকারি এলপি গ্যাস লিমিটেডের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাড়ে ১২ কেজির প্রতি বোতল (সিলিন্ডার) এলপিজি বিক্রিতে ৩৩৩ টাকা ২৪ পয়সার ক্রস সাবসিডি ফান্ড তৈরির সুপারিশ করে। অর্থাৎ কারিগরি কমিটির এই প্রস্তাব মেনে নিলে গ্রাহক সরকারি এলপিজি কিনলে প্রতি বোতলে এই টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে, যা সাবসিডি তহবিল নামে একটি সরকারি তহবিলে জমা থাকবে। সেখান থেকে পরে সাবসিডি বা ভর্তুকি দেওয়া হবে। গণশুনানিতে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, এইভাবে সরকারি কোম্পানির দাম বাড়িয়ে ফান্ড করা যায় না।

 এটি অযৌক্তিক। কোম্পানি বাড়তি এই দামে সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে কি না, সেটি আগে বিবেচনায় নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ভোক্তার অধিকার বিবেচনা করে কমিশন দাম নির্ধারণ করবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রীয় খাতের উন্নয়নের বিষয়টি আগে বিবেচনা করতে হবে। সরকারি কোম্পানির এলপিজির দাম বাড়ানোর সুপারিশ না করে উল্টো কমানো দরকার।

শুনানি শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে লিখিত মতামত দেওয়া যাবে। এরপর আবারও ছোট পরিসরে বসে দামের বিষয়ে মূল্যায়ন করে যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত দামের আদেশ দেবে কমিশন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর