শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

২০ লাখ মানুষের প্রাণ নিল করোনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুই বিশেষজ্ঞও আক্রান্ত

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এদিকে করোনার উৎস সন্ধানকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুই বিশেষজ্ঞও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২০ লাখ ৪ হাজার ৪৩১ জন। বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৬২৩। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪১০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৪ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৫০৮। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৪ জন। ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ১১৫। মারা গেছেন ২ লাখ ৭ হাজার ১৬০ জন। তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। জার্মানি দশম।

উল্লেখ্য, চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুই বিশেষজ্ঞের করোনা পজিটিভ : মহামারী করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল চীনের উহানে পৌঁছেছে। ১০ সদস্যের এই দলটি গত বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) উহানে পৌঁছায়। জানা গেছে, সেই দলের দুজনের শরীরে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি। তাই তারা উহানে যেতে অসফল হয়েছেন। ফলে সিঙ্গাপুরেই রয়ে গেছেন ওই দুজন। দেশ ছাড়ার সময় কারও সংক্রমণ ছিল না। সিঙ্গাপুর থেকে বিমান বদল করে উহানে আসার কথা ছিল, এই সিঙ্গাপুরেই আরও একবার পরীক্ষা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হলেও দুজনের শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। তাদের আবার পরীক্ষা করা হবে। এমনিতেই উহানে চীন সরকার বিশেষজ্ঞ দলের কাজে কতটা সহযোগিতা করে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তার ওপর এই ঘটনায় আরও সমস্যা বাড়ল। মহামারী করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দলটি বৃহস্পতিবার সকালেই সিঙ্গাপুর থেকে উহানে পৌঁছে যায়। সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ দলটি হাজমাট স্যুট (পিপিই) পরিহিত অবস্থায় উহানে পৌঁছে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটার বেন এমবারেক। দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর কাজ শুরু করবেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান পরিষ্কার জানিয়েছেন, মহামারীর পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

সর্বশেষ খবর