রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

সঙ্গীর অপেক্ষায় কাঞ্চি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সঙ্গীর অপেক্ষায় কাঞ্চি

জাতীয় চিড়িয়াখানায় গন্ডার পরিবারের বাসিন্দা ছিল কাঞ্চন ও কাঞ্চি। প্রায় সাত বছর আগে কাঞ্চন নামের পুরুষ গন্ডারটির মৃত্যু হয়। সঙ্গীকে হারিয়ে কাঞ্চি সেই থেকে পাগলপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে কাঞ্চির জন্য পুরুষ গন্ডার জোগাড় করতে পারছেন না চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা। কাঞ্চির এ নিঃসঙ্গতা দূর করার পথ খুঁজতে আজ চিড়িয়াখানায় সভা ডাকা হয়েছে। এমন তথ্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আবদুল লতিফ। চিড়িয়াখানার প্রশাসন বিভাগের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, সঙ্গী মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে নিঃসঙ্গ দিন কাটছে কাঞ্চির। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, পুরুষ গন্ডার মারা যাওয়ার পর নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তার সঙ্গে একই প্রজাতির তৃণভোজী প্রাণী ভেড়া রাখা হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পর ওই ভেড়াকে আর সহ্য করতে পারছিল না কাঞ্চি। তখন ভেড়ার নিরাপত্তা বিবেচনা করে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাঞ্চিকে আনা হয়। মালিক ছিলেন মেনেস নামে এক ব্যক্তি। তিন বছর পর অসুস্থ হয়ে মারা যায় পুরুষ সঙ্গী কাঞ্চন। সঙ্গী হারিয়ে দিশাহারা হয়ে ওঠে কাঞ্চি। এমনকি নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখন গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। তাতে কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় যোগাযোগ করা হয় গন্ডারের মালিক মেনেসের সঙ্গে। মেনেস সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন কাঞ্চির খাঁচায় যেন তৃণভোজী কোনো প্রাণী রাখা হয়। না হলে সে মারা যাবে। পরে একটা ভেড়া রাখা হয় কাঞ্চির খাঁচায়। কিন্তু তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠেনি। কেয়ারটেকার ফরিদ মিয়া বলেছেন, তার স্বভাব যখন-তখন পাল্টে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে তেড়ে আসে। দীর্ঘদিন একা থাকার কারণে এমনটা হয়েছে। জানা গেছে, কাঞ্চির জন্য এখন আফ্রিকা থেকে পুরুষ গন্ডার আনার পরিকল্পনা করছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর