সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

টেকনাফে বিজিবি ও মাদক পাচারকারীদের গোলাগুলি

পাঁচ বস্তা ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া ওমরখাল-সংলগ্ন নাফনদ এলাকায় বিজিবি ও মাদক পাচারকারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, অস্ত্র, কার্তুজ, কিরিচ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া ওমরখাল সংলগ্ন নাফ নদ থেকে অস্ত্র, কার্তুজ, কিরিচ, ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। দুপুরে টেকনাফস্থ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এসব তথ্য  নিশ্চিত করেছেন। এ সময় বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রুবায়াৎ কবীর ও মেডিকেল অফিসার (ক্যাপ্টেন) মো. মাসুম রেজা উপস্থিত ছিলেন। টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, নাফ নদ হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান দমদমিয়া ওমরখাল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহলদল ওই এলাকার কেওড়া বাগান ও নাফ নদে অবস্থান নেয়। নাইট ভিশন ডিভাইস দ্বারা তিন-চারজন দুষ্কৃতকারী মিয়ানমারের লালদ্বীপ হতে হস্তচালিত নৌকাযোগে বিআরএম ৯ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে শূন্য লাইন থেকে ১ কিমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তিদের টহলদল দেখা মাত্র স্পিডবোট ও দেশি বোট নিয়ে দুই দিকে ঘেরাও করে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা টহলদলের ওপর গুলিবর্ষণ         করে। টহলদল পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ইয়াবা পাচারকারীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পানিতে ডুবে স্থানান্তর হয়ে যায়। গোলাগুলি থামার পর টহলদল চোরাকারবারিদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে পাঁচটি প্লাস্টিকের বস্তা, একটি দেশে তৈরি বন্দুক (এলজি), দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি কিরিচ উদ্ধার করে। বস্তায় ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৫ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর