বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কারচুপিতে অভিনব মাত্রা দিয়েছে ইভিএম

-বদিউল আলম মজুমদার

কারচুপিতে অভিনব মাত্রা দিয়েছে ইভিএম

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বরাবরের মতো এবারও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যালটে নির্বাচন হলে কিছুটা হলেও নিরীক্ষার সুযোগ থাকে। ইভিএমে নির্বাচনে সেই সুযোগটুকুও চলে গেছে। কারণ এখানে কোনো কাগজ নেই। নির্বাচন কমিশন যে তথ্য দেয় সেটাই বিশ্বাস করতে হবে। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ বিতর্কিত অবস্থায় আছে। কারচুপিতে অভিনব মাত্রা দিয়েছে ইভিএম।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। সুজন সম্পাদক আরও বলেন, ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের সততার ওপর। ভালো নির্বাচন পেতে হলে সবার আগে এই কমিশনকে বিদায় করতে হবে। দুর্নীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে তাদের সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা এখন শূন্যের কোঠায়। আগের কমিশনগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল। আজিজ কমিশনের সময়ে অনেক ভুয়া ভোটারের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এই কমিশনের সঙ্গে কারও তুলনা চলে না। এই কমিশন মধ্যরাতে ভোট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা আগের কোনো কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠেনি। এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্টতা ও কারসাজির কারণে সর্বশেষ অধিকাংশ নির্বাচনেই জাল-জালিয়াতি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রভিত্তিক তথ্য নিয়ে সুজন ও টিআইবির তথ্যে এসব আগেই উঠে এসেছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অভিনব কায়দায় এই কমিশন নিজের আখের গোছাচ্ছে। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনায় এই কমিশনের এত আগ্রহ কেন? বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকায় ইভিএম ক্রয় প্রস্তাবে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্বাক্ষর করেননি। এটা ডিজিটাল কারচুপির আধুনিক যন্ত্র। কাগজ না থাকায় ইভিএম ব্যবহারের ফলে আমাদের নিরীক্ষার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ইভিএমের  মেমোরিতে যা থাকবে তা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। কমিশন চাইলে এটা বাড়াতেও পারে, কমাতেও পারে। তাই ভোটার উপস্থিতির তথ্যের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তবে নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে ও সরকার যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু এই কমিশনের নিরপেক্ষতা শূন্যের কোঠায়। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিতর্কিত কমিশন এটা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর