জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, অবকাঠামোসহ সরকারের অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার। এখানে সৎ ও যোগ্য লোক দরকার। এ কারণে স্থানীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনিয়ম হলে সার্বিকভাবে দেশেরই ক্ষতি। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হলে শেষ পর্যন্ত সব দলকে মাঠে থাকতে হবে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় দুপুরের আগেই বিভিন্ন প্রার্থী ভোট বর্জন করছেন। এতে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে নির্বাচন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক মীজানুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচনে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ আসে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে স্বতন্ত্র ও যারা সরকারি দলের প্রার্থী নন তারা এ অভিযোগ করেন। এটা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক, অনেক ক্ষেত্রে সঠিক নয়। অনেক সময় এজেন্ট প্রার্থীর থেকে টাকা নিয়ে কেন্দ্রে না গিয়েই অভিযোগ করেন। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারের মতো প্রার্থীর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষকদের নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। অন্যান্য ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার মতো তারাও সম্মানী পাবেন। কেন্দ্র ত্যাগ করলে শাস্তি পাবেন। এজেন্ট না এলে নির্বাচন কমিশনকে দায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভালো নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে হবে। কিন্তু এখনকার নির্বাচনগুলোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হচ্ছে না। সুষ্ঠু ভোট শুধু নির্বাচন কমিশন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরই নির্ভর করে না। এটা দল ও প্রার্থীর ওপরও নির্ভর করে। প্রার্থী মাঠ ত্যাগ করে চলে গেলে স্বার্থান্বেষী মহল ঢুকে পড়ে। প্রার্থীকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। তবে প্রার্থীকে মাঠে থাকার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। কেন্দ্রের ভিতরে অবাঞ্ছিত লোক যাতে অবস্থান করতে না পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও নির্বাচন কমিশনের। এ জন্য বিভিন্ন স্তরের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু তৎক্ষণাৎ শাস্তি দিতে পারে না কমিশন এজন্য অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন-পরবর্তী তিন মাস যাতে শাস্তি দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।