রাজশাহীতে তল্লাশি চৌকিতে পিটিয়ে পুলিশ সার্জেন্টের হাত ভেঙে দিয়েছেন দুই যুবক। গতকাল বেলা ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। আহত ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম বিপুল কুমার। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ও গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় মামলা দিতে উদ্যত হওয়ায় ওই সার্জেন্ট হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সার্জেন্টের দুই হাতে জখম হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পরই তাকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, তারা ইতিমধ্যেই হামলাকারীর নাম পরিচয় পেয়েছেন। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। সার্জেন্ট বিপুল কুমারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে। ঘটনাস্থলের সামনেই এদের একজনের চায়ের দোকান, অন্যজন পাশের একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাথায় হেলমেট ছাড়াই আসছিলেন দুই যুবক। ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চান। হেলমেট না থাকায় তিনি মামলা দিতে শুরু করেন। তখন তারা মোটরসাইকেল নিয়ে ফুটপাথের ওপরে ওঠেন। এরপর সার্জেন্টের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এরই একপর্যায়ে ফার্নিচারের দোকান থেকে কাঠের চলা এনে আচমকাই মারধর শুরু করেন সার্জেন্টকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশের হাতে আটক দুজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এক যুবকের নাম বেলাল। তার বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তিনি সামনের চায়ের দোকানেই আড্ডা দেন। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সার্জেন্ট বিপুলের দুই হাতে জখম হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন আছে। সুস্থ হলে সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।