ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জামাল মুন্সি (৫০) নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরচারতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত জামাল চরচরতলা গ্রামের ফজলুল হক মুন্সির ছেলে। নিহতের ভাই হানিফ মুন্সি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরচারতলা গ্রামের লতি বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুন্সি বাড়ির বিরোধ চলছিল। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির আরেক ছোট ভাই মোমিন মুন্সির সঙ্গে স্থানীয় ৫নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লতিবাড়ির সাদ্দাম হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে লতিবাড়ি ও মুন্সিবাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে ভোররাত ৪টার দিকে জামাল মুন্সিকে টেঁটা দিয়ে বুকে আঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার লঞ্চঘাটে আধিপত্য বিস্তার ও ঘাটের টাকা তোলা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সূচনা হয়। এ নিয়ে রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে মোমিন ও সাদ্দামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ কি নিয়ে বিরোধ সেটি জানতে পারেননি বলে জানান। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।