মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় সমস্যায় ভুক্তভোগীরা

-অ্যাডভোকেট এলিনা খান

বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় সমস্যায় ভুক্তভোগীরা

‘বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, চট্টগ্রামের আদালতে কোনো বিচারক নেই। এর ফলে বিশাল মামলাজট তৈরি হয়। তাই নিদারুণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেখানকার ভুক্তভোগীদের।’ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব বলেন। তিনি বলেন, মহামারীর তান্ডবের চেয়েও বড় তান্ডব গত প্রায় এক বছরে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বৃদ্ধি। মানুষ হিসেবে মানসিকভাবে আমরা পরিপূর্ণ নই। আমাদের মধ্যে যে মানসিক দ্বন্দ্ব রয়েছে তার কাউন্সেলিং করানোরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ ধরনের কাউন্সেলিংয়ে কেউ সেভাবে আগ্রহীও নয়। আর করোনার                সময় অধিকাংশ মানুষ ঘরে অবস্থান নিয়েছে। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বা বিনোদনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষ তার মনকে যে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবে সে অবস্থা ছিল না। এ জন্য যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ একের পর এক ঘটেছে। এলিনা খান বলেন, চাকরি হারিয়ে অনেক পুরুষ মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেন। এ অবস্থায় আমাদের মনোজাগতিক অবস্থার পরিবর্তন খুব জরুরি। তিনি বলেন, ঢাকা কোর্টের কথাই যদি বলি তাহলে বলতে হবে, এর অবকাঠামোর কারণে বিচারকদের সবার দিনের একটি সময় একসঙ্গে বসে কাজ করার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রের উচিত আদালতের অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বিচারক বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া। আমরা এত অপরাধের কথা বলছি কিন্তু এসব দিকে নজর না দিলে অপরাধের বিচারে হিমশিম খেতে হবে। অনেক বছর পর দু-একটি মামলার কিছুটা অগ্রগতি হলেও এর মধ্যে আবার সাক্ষী পাওয়া যায় না। মামলাটি আবার উচ্চ আদালতে যাবে। সেখানেও দীর্ঘ সময় লাগবে। সেখানে মামলা টিকবে কি টিকবে না তাও একটি ব্যাপার। এই যে বিভ্রান্তিকর জটিলতার মধ্যে আমরা অবস্থান করছি তাও সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সর্বশেষ খবর