মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

যুবককে বর্বর নির্যাতনে ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর কালুখালীতে গ্রাম্য সালিশের সাজা হিসেবে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগে সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলীসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, গত রবিবার বিকালে সাওরাইল ইউপির চর পাতুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে চর পাতুরিয়া গ্রামের ইমান আলী শেখের পুত্র মো. রাশেদুল শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০০ জুতার আঘাত ও জরিমানা করা হয়। এতেও চেয়ারম্যানের মনের তুষ্টি না মেটায় আরও শাস্তি হিসেবে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার পুরুষাঙ্গে রশি দিয়ে ইট বেঁধে তাকে স্কুলমাঠ প্রদক্ষিণ করায় এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। এর ফলে রাশেদের পুরুষাঙ্গে রক্তপাত হতে থাকে। এ সময় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারকে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং এ ঘটনা পুলিশকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরে রাশেদুলকে তার নিজ বাড়িতে চেয়ারম্যানের লোকজন দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেন। রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে কালুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাশেদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে রাশেদুলের পিতা ইমান আলী বাদী হয়ে কালুখালী থানায় এজাহার দিলে পুলিশ সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলী ও তার সহযোগী একজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী ও রায়হানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর