বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিরল পাখি সরুঠোঁট বেনেবউ

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

বিরল পাখি সরুঠোঁট বেনেবউ

বিরল পাখি সরুঠোঁট বেনেবউ। আমাদের দেশে এদের সংখ্যা খুবই কম। কালেভদ্রে এদের দেখা যায়। এরা পরিযায়ী পাখি। শীতকালে আমাদের দেশে আসে, আবার শীতের শেষে চলে যায়। অনেকটা ভাগ্যগুণেই এদের দেখা মেলে। এদের ইংরেজি নাম Slender-billed Oriole
. আর বৈজ্ঞানিক নাম Oriolus tenuirostrif.   এরা ওরিওলিডি গোত্রের এক প্রজাতির হলুদ বৃক্ষচর পাখি। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি পাখির গ্রাম থেকে এ বিরল পাখির ছবি তুলেছেন প্রকৃতিপ্রেমী ও শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ। বিশারদরা জানান, সরুঠোঁট বেনেবউ পাখির অন্য কোনো নাম নেই। যেহেতু তাদের ঠোঁট সরু, আর তারা বেনেবউ তাই এদের নাম দেওয়া হয়েছে সরুঠোঁট বেনেবউ। এরা লাজুক পাখি। এদের সুর খুব সুন্দর। এরা সুরেলা কণ্ঠে এক বা দুই শব্দে সিস দেয়। ঠোঁটের রং গোলাপি। চোখ গাঢ় লাল। ঘাড়ের ওপর কালো চিকন দাগ রয়েছে। দেহ হলদে। লেজের উপরাংশ কালো। হলদে ডানায় কালো রঙের মিশ্রণ রয়েছে। গাছের ওপরের ডালে থাকে বলে এদের দেখা যায় না। গাছের পোকা, পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এদের প্রজননকাল। এ সময় তারা আমাদের দেশ থেকে চলে যায়। হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল নেপাল, ভুটান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামে এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি। গাছের দুই ডালের মধ্য ঝুলন্ত বাটির মতো বাসা বাঁধে। দুই থেকে তিনটি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে লাগে ১৫ থেকে ২০ দিন। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রেসিডিন্ট ইনাম আল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে কালোমাথা বেনেবউ পাখি সব সময় দেখা যায়। এরা হলদে পাখি নামেই বেশি পরিচিত।

আর কালোঘাড় বেনেবউ পাখিও শীতে আসে। এদেরও দেখা যায় তবে খুব বেশি নয়। কিন্তু সরুঠোঁট বেনেবউ সংখ্যায় এতই কম যে এ পাখি আমাদের দেশের লোক দেখেনি। ছবি দেখে লোকে জানতে, চিনতে পারবে। আর দেখা নেই বলেই সরুঠোঁট বেনেবউ পাখিকেই অনেকে কালোমাথা বেনেবউ বলে থাকে।’

সর্বশেষ খবর