শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাবি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত একাধিক শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদাবনতি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করেছেন একাধিক শিক্ষক। এ ঘটনায় গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ একাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ করা হলেও আলোচিত গবেষণাটিকে কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ প্লেজারিজমে অভিযুক্ত করা যায় না। এছাড়া শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের সুপারিশও আমলে নেওয়া হয়নি। শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে আমি ন্যায়বিচার পাইনি। আমার নাম ব্যবহার করে মারজানকে লেখা জমা দেওয়ার অনুমতিও আমি দিইনি। আমি লেখা প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ন্যায়বিচার পাননি। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট শাস্তির ক্ষেত্রে একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া যে এডিটরিয়াল বোর্ড লেখা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল এবং যারা প্রকাশ করেছেন তারাও দায় এড়াতে পারেন না। সবার ক্ষেত্রে শাস্তির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন ছিল।

ট্রাইব্যুনালের সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এটাকে পূর্ণাঙ্গভাবে প্লেজারিজমের দায়ে অভিযুক্ত করা যায় না। আর্টিকেলের অসঙ্গতির রিভিউয়ের জন্য লেখকদের কাছে পাঠানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ ছিল না। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে ট্রাইব্যুনালের সুপারিশের প্রতিফলন দেখা যায়নি।

জানা যায়, একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ খবর