মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শেরপুরে সড়কে মৃত্যু ৬

বাঁচল মায়ের কোলে থাকা শিশু

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের মির্জাপুর এলাকায় ট্রাক ও সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ সিএনজিতে থাকা ছয়জন মারা গেছেন। তবে কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যায় ওই সিএনজির যাত্রী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মা রোকসানার কোলে থাকা থেলাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু রুমি (৭)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থায় মা রোকসানা নিজ আদরের ধন রুমিকে বাঁচাতে গাড়ির বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন। তবে রুমির হাত-পা ভেঙে গেছে। রুমি এখন শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন জানিয়েছেন, রুমি এখন অনেকটা বিপদমুক্ত। রবিবারের এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকসহ বাকি তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল দুপুরের মধ্যে আরও দুজন মারা যান। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যা ৮টার দিকে মারা যান আরও একজন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জন। এতে ওই শিশুটি ছাড়া সিএনজিতে থাকা যাত্রীদের আর কেউ বেঁচে থাকল না। নিহতরা হলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার বন্ধধারা গ্রামের ইউসূফ আলীর ছেলে সিএনজি চালক জবেদ আলী (২৫), রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের তায়েব আলীর ছেলে সেলিম (২৫), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০), কেতু মিয়ার ছেলে লাল মিয়া (৩৫), তিনআনী ঘুটুরাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৮) ও নন্নী বাইগরপাড়া গ্রামের মিস্টার আলীর ছেলে মামুন (২৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে শেরপুর শহরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শেরপুর-নালিতাবাড়ী সড়কের মির্জাপুর এলাকায় ওই সিএনজির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই দুর্ঘটনায় মোট ৬ জন মারা গেছেন। ঘাতক ট্রাক ও সিএনজিটি আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর