শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

শুষ্ক মৌসুমে ভাঙছে যমুনা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

শুষ্ক মৌসুমে ভাঙছে যমুনা

সিরাজগঞ্জে শুষ্ক মৌসুমেও যমুনার ভাঙন অব্যাহত। দুই মাস ধরে যমুনার সিরাজগঞ্জের পাঁচঠাকুরী, বাহুকা ও সিমলা পয়েন্টে ভাঙনে প্রায় ৩০টি বসতভিটা ও শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি। ভাঙনকবলিতরা ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী, বাহুকা ও বালিঘুঘরী গ্রামের কাছে যমুনার ভয়াল রূপ। স্রোতের কারণে পাড় ধসে প্রতিদিন একটু একটু করে ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এ কারণে তীরের বাসিন্দারা বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৩০টি পরিবার সব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে। হুমকির মুখে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুটি মসজিদ, একটি মাদরাসা, ঈদগাহ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু বসতভিটা ও ফসলি জমি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মানুষ নিঃস্ব হলেও পাউবো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ আবু সাইদ বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে যমুনায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেক আশা নিয়ে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে ফসলসহ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়ে পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে। পাউবো শুধু সার্ভে করে যাচ্ছে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ তিনি জানান, ভাঙন এলাকার উত্তরপাশে ক্রসবার বাঁধ নির্মাণ করা গেলে এলাকাগুলো রক্ষা পেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিরাজগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণে ৫৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ মুহূর্তে একটি ক্রসবার নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর