সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কক্সবাজার রেলের কাজ এগোচ্ছে দ্রুত

চলছে ব্রিজ, লেভেল ক্রসিং, কালভার্ট, স্টেশন তৈরির কাজ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

কক্সবাজার রেলের কাজ এগোচ্ছে দ্রুত

কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনায় স্থবির হয়ে পড়া কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের কাজ বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। চট্টগ্রাম হয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পটি সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৯ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মাটি কাটা, ব্রিজ নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং, কালভার্ট, স্টেশন তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে। এই রেললাইনটি নির্মিত হলে পর্যটন ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী। দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের ফাস্টট্র্যাকভুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি হচ্ছে রেলওয়ের এই প্রকল্প। রেলপথটি ২০২২ সালের শেষ দিকে চালু করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৪৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে মাটি কাটা, ব্রিজ নির্মাণ, স্টেশন, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং এবং কক্সবাজারের সেই আইকনিক ভবন তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি আরও বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াত খুবই সহজ হবে এবং অধিক সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে উৎসাহী হবে। এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও ঘটবে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।

 ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিমি., রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিমি. এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী  যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, কাগজের কাঁচামাল, বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা যাবে। ১২৮ কিমি. রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি। এগুলো হলো- সাতকানিয়া,  লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে ৩টি বড় সেতু। এ ছাড়াও এ রেলপথে নির্মিত হবে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট এবং ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হবে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং।

সর্বশেষ খবর