মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে কারাদন্ড পাওয়া মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে। পাপুল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। আদালতে রুলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। পরে তিনি বলেন, ‘আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাপুলের এমপি পদ বাতিলের বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় রুল শুনানি শুরু হবে বলে আশা রাখছি।’ এর আগে গত বছর ২০ আগস্ট লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার সংসদীয় আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান ও মো. সালাহ উদ্দিন। আদালতে রিটটি দায়ের করেন ওই আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান জানান, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচনী হলফনামায় পাপুল মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি হলফনামায় স্নাতকোত্তর উল্লেখ করে জমা দিয়েছেন স্নাতক সনদ। এ মিথ্যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২(সি) এর লঙ্ঘন। তাই আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া রিট করেছেন। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক, শহিদ ইসলাম পাপুল এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল হাই কোর্টের আদেশে।
