বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ

সেই সামিসহ ১১ জনের মামলা পুনঃতদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলজাজিরার তথ্যচিত্রের অন্যতম চরিত্র জুলকারনাইন সামিসহ ১১ জনের মামলা পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া গেল।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই মো. মহসিন সরদার আট আসামির অব্যাহতি চেয়ে এবং তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর আগে ৬ জুন গ্রেফতার করা হয় ঢাকার পুঁজিবাজারের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ইমনকে। পরে ঘটনা তদন্ত করে আট আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।

আদালতসূত্র জানান, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন শুনানির জন্য দুই আসামি আহম্মেদ কবির কিশোর ও মোস্তাক আহম্মেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ যে আট আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছে তারা হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ইমন, সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিল, আলজাজিরার তথ্যচিত্রের অন্যতম চরিত্র সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, জনৈক আসিফ ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন। অভিযোগপত্রে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, আসামিরা পলাতক থাকায় এবং তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় আপাতত তাদের এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করা হলো। এর আগে ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে র‌্যাব-৩-এর ডিওডি মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে গত বছর ৬ মে রমনা থানায় মোট ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি ও আপত্তিকর প্রচারণা এবং করোনাভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারসহ বিভিন্ন গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় তাদের অন্যতম সায়ের জুলকারনাইন সামি। ‘উই আর বাংলাদেশি’ পেজ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে অভিযুক্তদের ল্যাপটপ ও মোবাইল অনুসন্ধান করে ১১ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান গোয়েন্দারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাসনিম খলিল ও সামিসহ ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশকে টার্গেট করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার লক্ষ্যেই আলজাজিরার কল্পিত ফিল্ম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতারণা ও মিথ্যাচারে সিদ্ধহস্ত বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে আলজাজিরার এ ফিল্ম তৈরির উদ্দেশ্য কারও বুঝতে আর বাকি নেই। তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

সর্বশেষ খবর