শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যস্ততা ফুলের গ্রামে

নাজমুল হুদা, সাভার (ঢাকা)

ব্যস্ততা ফুলের গ্রামে

আগামী রবিবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষ করে বিরুলিয়ার ফুল চাষিরা বিক্রির জন্য অন্তত আড়াই কোটি টাকার ফুল প্রস্তুত করেছেন। তারা এখন চাহিদা পূরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সাভার উপজেলার সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ হেক্টর জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বিরুলিয়া, মোস্তাপাড়া, সামাইল ও শ্যামপুর এলাকায়। প্রায় চার শতাধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে এ ফুলের চাষ করেন। ফলন আর চাহিদা ভালো হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে চাষির সংখ্যা। এরই মাঝে যোগ হয়েছে ভিনদেশি ফুল জারবেরা ও সুর্যমুখী। বিরুলিয়া ইউনিয়নে এবারই প্রথম শুরু হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বাগান মালিকেরা বলছেন, বর্তমানে দেশের বাজারে প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদা বেড়ে গেছে। তারপরও এবছর ভালোবাসা ও মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তাদের মোট আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। গোলাপ ফুল চাষি হান্নান বাংলাদেশ   প্রতিদিনকে বলেন, ২০ বিঘা জমির ওপরে ৩০ বছর ধরে ফুলের চাষ করছি। করোনা কাটিয়ে দেশ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এ কারণে ফুলের চাহিদাও বেড়েছে। এবারই প্রথম টিউব গোলাপ চাষ শুরু করেছি। এই টিউব গোলাপের বীজ চীন থেকে আমদানি করা।

 তিনি আরও জানান, এক-একটি টিউব গোলাপ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রয় করা হয়। আর এ ফুল দীর্ঘদিন সতেজও থাকে। প্রতিদিন বিকালে ফুল কেটে স্থানীয় বাজারে নিয়ে পাইকারি দরে তিনি বিক্রি করেন। ঢাকার শাহবাগ ও চিটাগাংয়ের কিছু ফুল ব্যবসায়ী অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখেন। তাদের চাহিদা মতো ফুল সারা বছরই সরবরাহ করে থাকি। জানা গেছে, বিরুলিয়া এলাকায় সারা বছরই বাণিজ্যিকভাবে গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের চাষ হয়। তাই বিরুলিয়া ‘গোলাপ গ্রাম’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এখানকার ফুল দিয়েই বিশেষ বিশেষ দিবস ও দিনগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ফুলের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয়। সামনেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবস দুটিতে দেশে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। তাই বাড়তি ফুলের চাহিদা মেটাতে বিরুলিয়ার প্রতিটি গোলাপ বাগানেই নেওয়া হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা। ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগান পরিচর্যাকারীরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, সাভার উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করছেন ফুল চাষিরা। এর মধ্যে ৪০০ ফুল শ্রমিককে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গোলাপ বা ফুল চাষিদের যেন ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর