কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সার্কাসের হাতি ভাড়া করে এর পিঠে চড়ে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান করতে এসেছিল এক কিশোর। ভাঙামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা এটি।
বাজারের ভিতর দিয়ে হাতির পিঠে চড়ে বর আসতে থাকলে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। বরের নাম সম্রাট।
তার বয়স ১৬। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। বর-কনের বয়স একই। জানা গেছে, বর সম্রাট নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের বন্ধু খানের ছেলে। আর কনে ভাঙামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামের মেয়ে। যখন এ বিয়ের খাওয়া-দাওয়া শুরু হয় তখনই ঘটে অঘটন। কেউ এরই মধ্যে থানা পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। এরপর ছুটে আসে পুলিশের দল। কিন্তু তারা আসার আগ মুহূর্তে খাওয়া-দাওয়া শেষ না করেই বরপক্ষ কনেকে নিয়ে চম্পট দেয়। ভ-ুল হয়ে যায় অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন বলেন, শুনেছি এ বিয়ে এক বছর আগে হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া ও আনুষ্ঠানিকতার দিন ছিল শুক্রবার দুপুরে। কিন্তু অনুষ্ঠানে পুলিশ যাওয়ার আগেই বর ও কনেপক্ষ পালিয়ে যায়। ভাঙামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর বর সম্রাট হাতির পিঠে চড়ে নাগেশ্বরীর নেওয়াশি থেকে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসে। এ সময় হাতির পিঠে বরকে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, হাতির পিঠে চরে আসা বর বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান করতে এসেছে। এরপর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে সেখানে পুলিশ দেরিতে যায়। ফলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কনের দুলাভাই হাফিজুল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়ীর বড়ভিটা কলেজ মাঠে আয়োজিত স্থানীয় একটি সার্কাসের হাতি ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে তার পিঠে চরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে বর। কনে দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং বয়স কম হওয়ায় পুলিশ আসার খবরে সবাই দ্রুত পালিয়ে যায়।