সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ডোপ টেস্টে ১০০ পুলিশ সদস্য শনাক্ত বরখাস্ত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০০ জনকে শনাক্ত ও অন্তত ৩০ জনকে ডোপ গ্রহণের কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দফতরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন

আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক হাসান-উজ-জামান, অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম সাত্তার রনি ও এম এম মিন্টু হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশ লাইনে যাই। সেখানে কিছু সদস্যের মাদক সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে পারি। পুলিশের কল্যাণসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাদকের কুফল তুলে ধরে বক্তৃতা করি। ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫৭টি বিভাগের ডিসিদের সম্পৃক্ত করে তাদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেওয়াসহ মাদক সম্পৃক্তদের ফিরে আসার আহ্বান জানাই। এতে সাড়া না পাওয়ায় গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে সন্দেহভাজনদের ডোপ টেস্ট করতে বলা হয়। এতে কয়েক এসআইসহ শতাধিক পুলিশ সদস্যের মাদক সম্পৃক্তা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ডোপ টেস্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে ডিএমপিতে ঢালাওভাবে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে না। ডিএমপি প্রধান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ক্রাইম ভিকটিমের (অপরাধের শিকার) পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ গাড়ি থেকে যে জরিমানা আদায় করে তার অন্তত ৩০ শতাংশ ভিকটিম পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা। পুলিশ সপ্তাহে বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এবার পুলিশ সপ্তাহ না হওয়ায় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থ বরাদ্দ চাইব। ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় আর্থিক লেনদেনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। থানায় মামলা বা জিডি করার পর পুলিশ সদর দফতর থেকে বাদীর কাছে জানতে চাওয়া হয়- এ ব্যাপারে কোনো অর্থ দিতে হয়েছে কিনা। যে বিষয়ে বাদী অভিযোগ বা জিডি করতে চেয়েছেন ওই বিষয়ে করতে পেরেছেন কিনা। ৯৫ শতাংশ বাদী জানিয়েছেন, মামলা বা জিডি করতে কোনো ধরনের হয়রানি বা টাকা-পয়সা দিতে হয়নি।

ডিএমপি ৩৪ হাজার পুলিশের বিশাল বাহিনী। এদের সবাই সৎ- বলব না।

তবে ডিএমপি ডিসিদের কেউই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় বা ডিএমপির কোনো সদস্যের অনৈতিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যতবড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই তদবির করুক না কেন ডিএমপির কোনো সদস্য অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্র্যাবের যে কোনো শুভ ও কল্যাণকর কাজে ডিএমপি সবসময় পাশে থাকবে। ডিএমপির কোনো সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত অন্যায় আচরণ করলে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর