চুয়াডাঙ্গায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে স্থানীয়রা। তিনি হলেন দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক (৫৫)। শনিবার রাতে উপজেলার ভগিরতপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক নারীসহ (৩৫) তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। অবশ্য অভিযুক্ত মোমিনুল হক জানান, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এর সঙ্গে জড়িত। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, অভিযুক্ত মোমিনুল ইসলাম এবং ওই নারী উভয়েই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভগিরতপুর গ্রামের ইলিয়াছ হোসেন জানান, তিনি এক সঙ্গীকে নিয়ে বাওড়ে পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন। গ্রামের আলীহিমের বাড়ি থেকে এক নারীর চিৎকার শুনে সেখানে গেলে মোমিন মাস্টারকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
অভিযুক্ত নারী জানান, পারিবারিক জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কথা বলে তাকে ও তার স্বামীকে ভগিরতপুরে ডাকে মোমিন মাস্টার। পরে তার স্বামীকে বাইরে পাঠিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মোমিন মাস্টার। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে।