মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সালাম না দেওয়ায় কিশোর খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সালাম না দেওয়ায় কিশোর খুন

রাজধানীতে পৃথক দুই খুনে জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ১০ ফেব্রুয়ারি কদমতলীকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন জাকির হোসেন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি মুগদায় সালাম না দেওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয় কিশোর হাসান মিয়া। এ দুই ঘটনায় এদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০টি খুন হয়। এ রকমই ফেব্রুয়ারিতে দুটি খুন হয়েছে। একটি ১০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি। রবিবার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার ১৪ জনকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোকির হোসেনকে খুন করা হয়। একই ঘটনায় মজিবর রহমান ওরফে মোহন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আশপাশ এলাকা থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। এরা হলেন মো. শুক্কুর, নুরুল ইসলাম স্বপন, রতন ওরফে সোলাইমান ওরফে রোম্বে, শফিকুর রহমান ওরফে দিপু, ফাহিম হাসান তানভীর ওরফে লাদেন, তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ পারভেজ। এদের বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা চিহ্নিত অপরাধী। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড।

এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি মুগদায় কিশোর হাসান মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যান্ডেজ নামে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। তারা হলো তানভীর, রাতুল, ফাহিম, রতন, রিয়াদ, নিশাত ও আবু বক্কর সিদ্দিক। সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপটি হাসানকে খুন করে। এদের নেতৃত্ব দিত তানভীর। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে খুন হওয়া হাসান একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। সে মুগদার মান্ডায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। হাসানের বড় ভাই হাবিবের অভিযোগ, মান্ডার লেক তুষার শাহ আলমের গলিতে ৮/১০ জন মিলে তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়।

 

সর্বশেষ খবর