রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েসহ তিনজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক ব্যক্তি। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে শনির আখড়ার শেখদী এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ইয়াসমিন আক্তার (৩৫), তার মেয়ে মাহমুদা মেহেরিন (১৫) এবং তাদের প্রতিবেশী রুহুল কুদ্দুস বাবু (৪৫)।
জানা গেছে, মাহমুদা মেহেরিন ওই এলাকার ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আর বাবু পেশায় একটি হোটেলের ম্যানেজার। গতকাল ঢাকা মহানগর পুুলিশের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাকিবুল হাসান জানান, ওই ঘটনায় পরান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। ঢামেক সূত্র জানায়, পরান নামের এক লোক পূর্বশত্রুতার জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় বাসার দরজায় নক করলে ইয়াসমিনের মেয়ে দরজার কাছে যায়। তখন পরান চাপাতি দিয়ে মেহেরিনের ডান হাতে কোপ দেয়। মেয়ের চিৎকারে ইয়াসমিন এগিয়ে গেলে তারও মাথায় কোপ দেয় পরান। এর আগে একই ব্যক্তি প্রতিবেশী বাবুকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ইয়াসমিন নোয়াখালীর চৌমুহনী উপজেলার মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিনি দুই নম্বর শনির আখড়ার শেখদীতে একটি ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকেন।