বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মার্চে তফসিল, এপ্রিলে শেষ ধাপের ভোট, আজ বৈঠকে বসছে ইসি

গোলাম রাব্বানী

মার্চে তফসিল, এপ্রিলে শেষ ধাপের ভোট, আজ বৈঠকে বসছে ইসি

আগামী এপ্রিলের শুরুতে শেষ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মাসের (মার্চ) শুরুতে এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ইসি জানিয়েছে, ৭ এপ্রিল শেষ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক তারিখ রাখা হয়েছে। তবে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারির কমিশন সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এ ছাড়া ঈদের পর মে মাসের মাঝামাঝিতে দেশব্যাপী বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরুর কথা রয়েছে। তবে রোজার আগে বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হতে পারে। শেষ ধাপের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আজ বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিক সভায় বসছে নির্বাচন কমিশন। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩০ পৌরসভায় ভোট করতে হবে। এর আগে চার ধাপে মোট ২০২ পৌরসভায় ভোট হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপের ৩২ পৌরসভায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫৯ পৌরসভায় এবং তৃতীয় ধাপে ৬৩ পৌরসভায় ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫৬ পৌরসভায় ভোট হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপের ভোট হবে। এ ছাড়া এপ্রিলের শুরুতে শেষ ধাপের বেশ কিছু পৌরসভায় ভোট হতে পারে। বিভিন্ন ধাপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম ধাপে ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬৫.২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ব্যালট ও ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬১.৯২ শতাংশ। আর তৃতীয় ধাপে ব্যালটে ভোট পড়েছে ৭০.৮২ শতাংশ এবং চতুর্থ ধাপে ব্যালট ও ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬৫.৩৩ শতাংশ। 

বিভিন্ন নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, মে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট শুরু হবে। সিইসি জানান, পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি। মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর রমজান রয়েছে। তিনি বলেন, শেষ ধাপের বাদ বাকি পৌরসভা ও নির্বাচন উপযোগী কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৭ এপ্রিল করার প্রস্তাব এসেছে। এ জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশনের সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। কটি পৌরসভা ও ইউপি ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা হবে বলে জানান সিইসি। সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রকাশের বিষয়, সিডি তৈরি ও রমজান রয়েছে। ৭ এপ্রিল কিছু হবে। তবে ঈদের পর মধ্য মে মাসে ইউপি নির্বাচন শুরু হবে। বিভিন্ন ধাপের মধ্যে চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের ৫০ জন, বিএনপির ১ জন ও ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। দলীয় প্রতীকে এ ভোটে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন। দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৯ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। বর্তমানে সারা দেশে ইউপির সংখ্যা হচ্ছে ৪৪৮৩টি। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়েছে ৪৩২১টিতে এবং অন্যান্য সময়ে ভোট হয়েছে ১৬২টিতে। ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী সময় শেষ হচ্ছে ৭৫২ ইউপি, ৩০ মার্চ সময় শেষ হবে ৬৮৪ ইউপির, ২২ এপ্রিল সময় শেষ হবে ৬৮৫ ইউপির, ৬ মে সময় শেষ হবে ৭৪৩ ইউপির, ২৭ মে সময় শেষ হচ্ছে ৭৩৩ ইউপি এবং ৩ জুন শেষ হবে ৭২৪ ইউপির মেয়াদ। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী এবারও দলীয় প্রতীকে ইউপি ভোট হবে।

সর্বশেষ খবর