শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
বরিশালে সমাবেশে বিএনপি নেতারা

নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন

বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে গতকাল ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, আগামীতে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এ দাবি আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে আমি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল বিকালে বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মাঠে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বরিশাল সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন,  খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, আবুল হোসেন খান, জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, আক্তারুজ্জামান শামীম, এ এইচ এম তসলিম উদ্দিন প্রমুখ। হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনার শাসন সামরিক শাসনের চেয়েও খারাপ। সব চেয়ে নিকৃষ্ট সরকারের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। সরকার দেউলিয়াত্বের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ’৭১ সালে দেশের আপামর জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই। সরকার ভোট ডাকাতি করে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। জনগণকে দেওয়ার মতো এই সরকারের হাতে কিছুই অবশিষ্ট কিছু নেই। তিনি বলেন, মেজর জিয়া ভারতে বসে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি সম্মুখসারিতে যুদ্ধ করে খেতাব পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। এখন আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে আওয়ামী লীগের বদৌলতে। এখন একটি কালো কোর্ট গায়ে দিলেই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মিত্র বাহিনী না এলেও বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হতো। সমাবেশে স্লোগান দেওয়া নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘাতে বিরক্ত হয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্লোগান দিতে হবে রাজপথে। স্লোগান দিয়ে সমাবেশ নষ্ট করবেন না। মিছিল করতে হয় রাজপথে মিছিল করবেন। নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতির মডেল চালু করেছেন। ভোট ডাকাতির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার আমি নিজেই। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আমরা রাতের ভোট চাই না। সব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করায় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। চট্টগ্রামের ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএম দিয়ে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশন। ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আগামীতেও সুষ্ঠু হবে না। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। ইশরাক হোসেন বলেন, এই সমাবেশে আসার সময় আমাকে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। বরিশালের নেতা-কর্মীদেরও বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরও শত বাধা উপেক্ষা করে বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাড়াও বিভাগের ছয় জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। পুরো সমাবেশ ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

সর্বশেষ খবর