শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
আইআইএফের পূর্বাভাস

বিশ্বের দেনা ৯২ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

করোনার বছরে সারা বিশ্বের দেনা ২৪ ট্রিলিয়ন বেড়ে মোট ২৮১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক  ট্রেড গ্রুপ ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স’ (আইআইএফ) ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছে এ তথ্য।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের গতি-প্রকৃতির আলোকে ২০২০ সালে দেনা ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তে বলে অনুমান করা হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য তা ২৪ ট্রিলিয়ন হয়েছে। করোনাভাইরাস দমন/প্রতিরোধ ইত্যাদি কারণে সব দেশের সরকারকেই বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে, যার কোনো ইঙ্গিত আগে থেকে ছিল না। একই সঙ্গে জনজীবন থমকে যাওয়া অর্থাৎ লকডাউনে থাকায় বহু দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা এসেছিল বছরের ৯ মাস। আর এ পরিস্থিতি ২০০৮ সালের মহামন্দাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এমনকি ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতার ব্যাপারকেও হার মানিয়েছে বলে আইআইএফ উল্লেখ করেছে। করোনা মহামারী অব্যাহত থাকায় চলতি বছরও দেশগুলোর দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। চলতি বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সামনের বছর বাজেটে তার প্রভাব রয়েই যাবে বলে মন্তব্য করেছে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। তারা মনে করছে, চলতি বছর দেনার পরিমাণ ১০ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে তা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৯২ ট্রিলিয়ন ডলার। বাজেট ঘাটতির ব্যাপারটি স্মরণে রেখেই করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

 এবং সেটিই হবে মানবতার কল্যাণে সময়ের দাবির পরিপূরক পদক্ষেপ। রাজনীতি এবং সামাজিক চাপে সরকারসমূহের কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত মনে হলেও তা ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় শুভ কোনো ফল বয়ে আনবে না। তাই সরকারসমূহকে সমালোচনায় কান না দিয়ে করোনা পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী পরিত্রাণে যতটা সম্ভব সোচ্চার থাকতে হবে। করোনা পরিস্থিতি সঙ্গে রেখে সামগ্রিক অর্থে উন্নয়ন-অভিযাত্রায় মনোনিবেশ করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রের গভর্নমেন্ট জবাবদিহিতা অফিসের ধারণা, চলতি বছর ৪ ট্রিলিয়ন ডলার দেনা বাড়বে। গত নভেম্বরে প্রকাশিত এই অফিসের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের দেনা বাড়তে পারে ২৬.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।

সর্বশেষ খবর