পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপগঞ্জের রূপসী বাসভবনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসী বাসভবনে প্রতি শুক্রবার মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী নেতা-কর্মীদের সময় দেন। কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি ও প্রতিপক্ষ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনির হোসেন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রূপসী বাসভবনে আসেন। এ সময় কলি গ্রুপের লোকজন পনির হোসেনসহ তার লোকজনকে দেখে ক্ষিপ্ত হতে থাকেন। একপর্যায়ে মন্ত্রীর সামনেই উভয় গ্রুপ কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরস্পর কিল- ঘুষিতে উভয় পক্ষের পনির হোসেন, হাসান, শরীফ, ফারুক, রাশেদসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্য নেতারা উভয় পক্ষের হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেন। পরে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সহযোগিতায় থামানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনির হোসেনের সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির বিরোধ চলে আসছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে বিরাব বাজারে থাকা পনির হোসেনের কার্যালয়ে হঠাৎ গোলাম রসুল কলির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। কার্যালয়ের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া কার্যালয়ের ভিতরে কাচের গ্লাস, চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পনির হোসেনের লোকজনসহ স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। গতকাল সকালে পনির হোসেনসহ তার লোকজন হামলা ও ভাঙচুরের বিচার দিতে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপসী বাসভবনে যান। সেখানে প্রতিপক্ষ গোলাম রসুল কলিসহ তাদের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই গ্রুপ মখোমুখি হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র পনির হোসেন বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে তার বাড়িতেই ঘটেছে। তিনি এ ঘটনার সমাধান করবেন। এ ব্যাপারে আমি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নই।’ এ ব্যাপারে জানতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এমদাদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিনুল কাদির বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
