শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা নিয়েছেন দেশের ১ শতাংশ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর ইতিমধ্যে ১ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর জানিয়েছেন, বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৫টি দেশ তাদের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

গতকাল বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক সংলাপে এই তথ্য তিনি তুলে ধরেন। গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণটিকাদান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন। সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘মানুষকে টিকা দিতে উৎসাহিত করতে হবে। ইতিবাচক বিষয়টি বারবার তুলে ধরতে হবে। এখন মানুষ দলে দলে টিকা নিচ্ছে। টিকা নেওয়ার এই গতিটা ধরে রাখতে হবে, মানুষ যেন টিকা নেয়।’ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ৫ শতাংশের নিচে আছে। তাতে একটি স্বস্তির পরিবেশ থাকলেও সতর্কতায় ঢিল না দিতে সবাইকে তাগিদ দেন ডা. এ এস এম আলমগীর।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহও একই মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, এটা বৈশ্বিক সমস্যা, আমাদের দেশে কমলেও অনেক দেশে এখনো সংক্রমণের হার বেশি। সারা পৃথিবীর সব দেশ ভালো না থাকলে আমরাও ভালো থাকব না। যেসব দেশে সংক্রমণ আছে তাদের অনেকে আমাদের দেশে আসবে। তারা যেন ভাইরাসটি ছড়িয়ে না দেয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। টিকা দেওয়ার পাশাপাশি মাস্কও পরতে হবে।’ সংক্রমণ কমলেও বাংলাদেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত হয়নি মন্তব্য করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, জনসমাগম বন্ধ রাখতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার কর্মযজ্ঞকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। সমাজপতি, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতাদের টিকাদান কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। নারীরা এগিয়ে আসছে না, গরিব, অসচ্ছল, ভাসমান মানুষ এখনো টিকা নিচ্ছে না। এদের কাছে টিকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে।’ ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় এ সংলাপে অন্যদের মধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত অণুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএইচআরএফের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি।

সর্বশেষ খবর