শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
নির্বাচনী বিরোধ

দেবিদ্বারে প্রার্থী অবরুদ্ধ, সংঘর্ষ চরফ্যাশনে

প্রতিদিন ডেস্ক

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে অবরুদ্ধ এবং ভোলার চরফ্যাশনের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ-

কুমিল্লা : দেবিদ্বার উপজেলার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদসহ জেলা নেতাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের প্রচারণার কয়েকটি গাড়ি। দেবীদ্বার উপজেলা সদরের মা-মণি হসপিটালের ওপরে তৃতীয় তলার মিলনায়তনে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। হাসপাতালের নিচে প্রতিপক্ষ অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এতে গভীর রাতে উপজেলা সদরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, এখানে তাদের কর্মিসভা ছিল। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন গিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হয়। অন্যদের তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ নিয়ে ওসিকে জানালেও তিনি কোনো ভূমিকা নেননি। এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, ‘তাদের অবরুদ্ধ করার মতো অবস্থা আমাদের নেই। এটা তাদের দুই গ্রুপের সমস্যা।’ কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সেখানে একটি দলের দুই পক্ষের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।’ চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাশনে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাইমুদ্দিন মোড় সড়ক এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন লাভলী (২৫), রিয়াজ (৩৫), আলী (২৫), সোলাইমান (৩৬), কামরুল ইসলাম (৪২), আলমগীর বাতান (৪৩) ও রুবেল (৩০)। ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম কিষাণ বলেন, পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মফিজের লোকজন  আমার বাড়ির দরজায় আমার বড়ভাই কামরুল ও আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লাভলীকে মারধর করে। এ সময় আমার সমর্থক আলীসহ আরও কয়েকজন তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় পাল্টা লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ছয়/সাতজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের আশঙ্কায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে নিরাপত্তায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর