রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী নগরীর মতিহার এলাকায় এক ব্যক্তির সন্তানকে পড়াতেন। এ বিষয়ে মৌখিক চুক্তি হয়। পড়ানো শেষ হলে চুক্তি অনুযায়ী মেয়েটিকে তার পাওনা টাকা দিতে গড়িমসি শুরু করে শিক্ষার্থীর পরিবার। কোনোভাবে টাকা আদায় করতে না পেরে ওই ছাত্রী পুলিশের শরণাপন্ন হন। বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে যোগাযোগ করেন। আর এতেই আসে সমাধান।

গতকাল পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, পড়ানো শেষে টাকা চাইতে গেলে পরিবারটি ছাত্রীকে প্রাপ্য টাকার অর্ধেকেরও কম দিতে চায়। ছাত্রীটি তা নিতে অস্বীকার করে সম্পূর্ণ পাওনা দাবি করেন। পাওনা না পেয়ে হোস্টেলে ফিরে যান তিনি। পরিবারটি প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ছাত্রী উচ্চবাচ্য করার সাহস পাননি। গত বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে সহায়তা চেয়ে বার্তা পাঠান ওই ছাত্রী। পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটি বুঝে পান তার প্রাপ্য। দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই টিউশনি করে নিজেদের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে থাকেন। তাদের সহযোগিতা করা উচিত এবং তাদের যে কোনো সৎ চেষ্টা ও উদ্যমকে সবারই সমর্থন জানানো উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ পুলিশ।