মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপের ২৭ ডিম

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপের ২৭ ডিম

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২৭টি ডিম পেড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’। রবিবার সন্ধ্যায় একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে ডিম পাড়ে। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম ফোটে বাচ্চা বের হবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। 

সুন্দরবনের করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীতে খুঁজে না পাওয়া বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ খুঁজতে খুঁজতে ২০০৮ সালে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটির সন্ধান মেলে। এই আটটি বাটাগুর বাসকার মধ্যে ছিল চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। ওই বছরই প্রজননের জন্য আটটি বাটাগুর বাসকা গাজীপুরে নিয়ে যায় বন বিভাগ। কয়েক বছরে ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল মা কচ্ছপ। সেখানে ভালো সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এই কেন্দ্রে ২০১৭ সালে দুটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়। এরপর ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা, ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা, ২০২০ সালের ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা জন্ম নেয়।

রবিবার সন্ধ্যায় একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে ২৭টি ডিম পেড়েছে। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম ফোটে বাচ্চা বের হবে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে দুটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি, ২০১৯ সালে পাঁচটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর