বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

লাগাম টানতে হবে সরকারি দলের কর্মীদের

-এম এ মতিন

লাগাম টানতে হবে সরকারি দলের কর্মীদের

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেছেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে টাকা কামাইয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। অনেকে আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এটা দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এদের এখনই লাগাম টানতে হবে। নইলে আওয়ামী নেতা-কর্মীরাই দলের জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দেবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এম এ মতিন বলেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন ও প্রতারণা  হচ্ছে। প্রতারণা না করে প্রয়োজনে সব স্তরে ক্ষমতাসীন দলের লোক বসিয়ে ১০ বা ২০ বছর পর উন্নয়ন শেষে গ্রহণযোগ্য ভোট দিন। তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা টাকার পাহাড় গড়ার জন্য এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাত তৈরি করতে পারে। সরকারি দলের লোকদের এমন কর্মকান্ড জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দলের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে এম এ মতিন বলেন, আমাদের সংগঠনের অবস্থা ভালো। তবে করোনাকালে যেসব সংগঠনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। ছাত্র সংগঠনের কাউন্সিল হয়েছে। যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনটি সাজানো হয়েছে। প্রতিটি অঙ্গসংগঠন সাজানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বেদনাদায়ক। নির্বাচনের বিষয়টা তামাশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন মানেই প্রতারণা। নির্বাচন মানে ধোঁকাবাজি। এসব অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। নির্বাচন নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখন বিষফোঁড়া। নির্বাচন কমিশন ঘিরে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রতারণামূলক নির্বাচন বন্ধ করা। ইসলামী দলগুলোর রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিকাংশ ইসলামী দলের নেতার মধ্যে উগ্রতা কাজ করছে। চলমান রাজনীতির জন্য নেতৃত্বের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী পুরনো দল হলেও উগ্রতার কারণে তারা এগোতে পারছে না। তাছাড়া ইসলামী দলগুলোর নেতাদের মধ্যে আনুগত্যের অভাব রয়েছে। এসব কারণে ইসলামী দলগুলো ক্ষতবিক্ষত। শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার সবকিছু খুলে দিল অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীদের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার। তিনি বলেন, সামনে রমজান। নিত্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে এম এ মতিন বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো অগ্রগতি হচ্ছে। এটাকে সাধুবাদ জানাই। দেশে এখন বিরোধী দল বলতে কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা একদলীয় পার্লামেন্ট। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকায় গোটা জাতি হতাশ। নিজেরা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভুগছে। নেতৃত্বে শূন্যতা রয়েছে। নির্বাচনের সময় মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর শোনা যায়। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

সর্বশেষ খবর