শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

সুন্দরবনে আরও একটি কচ্ছপ ডিম পেড়েছে ২৩টি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে আরও একটি কচ্ছপ ডিম পেড়েছে ২৩টি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে চার দিনের মধ্যে আরও একটি বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ২৩টি ডিম পেড়েছে। বুধবার রাত ১০টায় প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে বালুর মধ্যে একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ এই ডিম পেড়েছে।

ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবনের করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির মোবাইলে জানান, ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীতে খুঁজে না পাওয়া বিলুপ্ত প্রজাতির আটটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ ২০০৮ সালে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে সন্ধান মেলে। এই আটটি বাটাগুর বাসকার মধ্যে ছিল চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী।

ওই বছরই প্রজননের জন্য আটটি বাটাগুর বাসকা গাজীপুরে নিয়ে যায় বন বিভাগ। কয়েক বছরে ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল মা কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। সেখানে ভালো সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এই কেন্দ্রে ২০১৭ সালে দুটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়। এরপর ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা, ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা, ২০২০ সালের ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা জন্ম নেয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে ২৭টি ডিম পাড়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে বুধবার রাতে আরও একটি বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ২৩টি ডিম পেড়েছে। দুটি কচ্ছপের পাড়া ৫০টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ দিন থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থেকে ২০১৭ সালে দুটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি, ২০১৯ সালে পাঁচটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর