ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় গতকাল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের উপস্থিতিতে পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই ব্যক্তির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। এ সময় ৪টি মোটরবাইকে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ১২টি মোটরবাইক। ব্যাংক এশিয়া অফিসের কাচ ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আগমন উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের সামনে মিছিল নিয়ে আসেন। জুয়েল ও আজিজ আসন্ন কসবা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। জুয়েল ও   আজিজ সমর্থকরা প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর সংঘর্ষ থেমে যায়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনমন্ত্রী তাঁর পূর্বনির্ধারিত স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আসেন। আইনমন্ত্রীকে আগে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো ও অনুষ্ঠানস্থলে আগে বসাকে নিয়ে আবারও সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুয়েল-আজিজ সমর্থকরা। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ পরে সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলা মার্কেট, পুরাতন বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মার্কেটে আসা লোকজন দিগ্বিদিক পালাতে থাকে। প্রতিপক্ষের লোকজন আজিজ সমর্থকদের ৪টি মোটরবাইকে অগ্নিসংযোগ করে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ব্যক্তিদের কমপক্ষে ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুরের শিকার হয়।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের ২০ জন আহত হন। এ সময় উপজেলা মার্কেট, পুরাতন বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা লোকজন দিগ্বিদিক পালাতে থাকে। পরে মন্ত্রী উপজেলা মিলনায়তনে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন না করেই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে তার বাড়ি কসবার পানিয়ারুপ গ্রামে চলে যান। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যার যার এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ভূইয়া জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।