সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

গাজীপুরে স্ত্রীকে সাত টুকরা করে কাজে গেলেন স্বামী

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে রেহানা বেগম নামে এক গৃহবধূর ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকার তিনটি জায়গা থেকে লাশের খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জুয়েল আহমেদকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার পর ৭ টুকরা করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

নিহত গৃহবধূ রেহানা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে। আটক জুয়েল ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, জুয়েলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের কাচিরগাতি গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুুল বাতেন। রেহানা ও জুয়েল তারা স¤পর্কে বিয়াই-বিয়াইন ছিল। প্রেমে জড়িয়ে দুই বছর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। দুই মাস ধরে তারা গাজীপুরের মনিপুর এলাকায় জাকিরের বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। রেহেনা স্থানীয় আরাবী ফ্যাশনে চাকরি করতেন। জুয়েল চাকরি ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। রেহেনা দেড় বছর আগে চাকরি করতেন নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টে। সম্প্রতি স্বামী জুয়েলের কথায় গাজীপুর চলে আসেন। গত বৃহ¯পতিবার সাংসারিক কলহের জেরে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রেহানাকে মারধর করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে রেহানা মারা গেছে ভেবে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে শয়নকক্ষে ছুরি দিয়ে জবাই করে এবং মৃতদেহ ৭টি খ- করে তিনটি ব্যাগে ভরে রাতের আঁধারে নিরাপদ স্থান মনে করে টুকরাগুলো বাড়ির পাশের একটি সেপটি ট্যাংকির উপর ময়লার স্তূপে লুকিয়ে রাখেন। ওসি আরও জানান, ময়লার স্তূপের পাশে একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে ও দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পরে জুয়েলের আচরণে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে এ ঘটনাও পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগ খুলে ওই নারীর কাটা দুই হাত, দুই পা ও মাথা উদ্ধার করে। স্ত্রীকে হত্যার পর ৭ টুকরা করার কথা জুয়েল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এছাড়া লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ঘটনার তদন্তের পর পুরো তথ্য জানা যাবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর