শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশে তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে তৃপ্তির ঢেঁকুর

ভারী অস্ত্রের হদিস নেই

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে আধুনিক ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার হলেও এসব অস্ত্রের হদিস পায় না প্রশাসন। ফলে দেশি তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে প্রশাসন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে অপরাধ কর্মকান্ডে ভারী ও আধুনিক অস্ত্র আগের মতো ব্যবহার না হওয়ায় উদ্ধারের তালিকায় নেই এসব অস্ত্র। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন অপরাধ কর্মকান্ডে রাইফেল কিংবা একে সিরিজের মতো ভারী অস্ত্র ব্যবহার হয় না। তবে কিছু কিছু অপরাধী চক্র বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করছে। বিপরীতে এসব অস্ত্র উদ্ধারে সাফল্যও দেখাচ্ছে পুলিশ।’ সিএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘দুই তিন বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার নেই বললেই চলে। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো শক্তি প্রদর্শনের জন্য আগের মতো ভারী অস্ত্র প্রদর্শন করে না। মূলত ভারী অস্ত্র না থাকার কারণেই তা উদ্ধার করা যাচ্ছে না।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক ও ভারী অস্ত্র। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধে। কয়েকদিনে খুন, সংঘাতে ভারী ও বিদেশি অস্ত্রের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সিংহভাগ অপরাধে আধুনিক ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও এসব অস্ত্রের হদিস পায় না প্রশাসন। মাঝে মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হলেও তা সীমাবদ্ধ থাকছে শুধু দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির একাধিক থানার ওসি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী গ্রুপগুলোর হাতে ভারী ও আধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ চাইলে তাদের বাসা কিংবা আস্তানায় অভিযান চালাতে পারে না। তাই ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সাফল্য দেখাতে পারছে না পুলিশ।’ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া এবং চন্দনাইশ পৌর নির্বাচনের দিন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যবহার করা হয় ভারী ও আধুনিক অস্ত্র। একইভাবে চসিক নির্বাচনেও প্রকাশ্যে ব্যবহার করা হয় ভারী ও আধুনিক অস্ত্র। এ নির্বাচনগুলোতে ব্যবহার করা কোনো অস্ত্রই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ১২ জানুয়ারি নগরীর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের সমর্থকরা প্রকাশ্যে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। ওই ঘটনায় ব্যবহার করা ভারী অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সাত বছর আগে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় দুই পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ওই ঘটনায় ব্যবহার করা কোনো অস্ত্রই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর