বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

তিস্তাসহ ছয় নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরে ভারত-বাংলাদেশ সহমত

সচিবদের বৈঠক

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

তিস্তাসহ অভিন্ন ছয় নদ-নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত ও বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিবরা একমত হয়েছেন। ছয় নদ-নদী হলো- মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, দুধকুমার ও ধরলা। একই সঙ্গে সুরমা নদী থেকে পানি উত্তোলনের জন্য একটি সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর নিয়েও ঐকমত্য হয়েছে। তবে এসব চুক্তি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের পর স্বাক্ষরের জন্য ভারতের সচিব অনুরোধ করেছেন। এপ্রিলে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মুহূর্তে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় স্থির না হলেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে, দীর্ঘ ১০ বছর পর যৌথ নদী কমিশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার এবং ছিলেন দিল্লিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। ভারতের নেতৃত্ব দেন পংকজ কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরের আগে এ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দুই দেশের সচিবরা। আলোচনার সময় দেখা যায়, ছয় নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বিষয়ে আরও তথ্য প্রয়োজন হয়। এ জন্য আপাতত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের আগে প্রযুক্তিবিদ স্তরে কমিটির বৈঠক হবে। বাংলাদেশের সচিব পুনরায় অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ দেখান। তিনি জানান, সচিব পর্যায়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে আছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় আসন্ন দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে। এদিকে ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব টুইট করে জানান, দুই দেশ ভারতের কাটিহার থেকে পার্বতীপুর হয়ে বড়নগর পর্যন্ত একটি ৭৫৬ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসানো নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।

এতে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ পেতে পারে গ্রিড থেকে। তিনি এও জানান, চলতি বছর রামপুরের সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হয়ে যাবে। আগামী বছর চালু হবে দ্বিতীয় ইউনিট।

সর্বশেষ খবর