বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা গ্রহণ করেছে নোয়াখালীর ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল দুপুরে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বেলা ১১টায় দ্রুত বিচার  ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের স্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন। মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে মোট ৯৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

অস্ত্র উদ্ধার : মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এক অনুসারীর বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কাদের মির্জার সহযোগী মাইন উদ্দিন কাঞ্চন ওরফে কসাই কাঞ্চনের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোস্তফার ছেলে এবং কাদের মির্জার অনুসারী। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত কাঞ্চনকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, কসাই কাঞ্চন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে।

 

পাল্টা মামলা : এদিকে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে নোয়াখালীর ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, নুরনবী চৌধুরী চেয়ারম্যান, তার ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, ইস্কান্দার মির্জা শামীমসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেছেন।

বাদলের মুক্তি দাবি : কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে বাদলের পরিবারের সদস্যরা তার মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, বাদল কারাগারে অথচ ঘটনার মূল হোতা কাদের মির্জা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সর্বশেষ খবর