বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান কতজনকে দায়মুক্তি দিয়েছেন : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ অবসরে যাওয়ার আগের পাঁচ মাস দুদকের অনুসন্ধান থেকে কতজনকে  অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেওয়া হয়েছে তার সংখ্যা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে কেন দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা করে ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে ১৪ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদককে প্রতিবেদন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইকবাল মাহমুদ দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে ১০ মার্চ অবসরে যান। তিনি ২০১৬ সালের ১০ মার্চ এ পদে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সরকারি সংস্থা সাধারণ বীমা করপোরেশনে ১০ বছর ধরে চলা যে জালিয়াতি এবং ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে সংস্থাটির অবস্থান কী তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

বীমা কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে তা ১১ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিবেদনটির প্রতিবেদককেও তার প্রতিবেদন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘১০ বছর ধরে জালিয়াতি, ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর একই আদালত এ আদেশ দেয়। দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন গতকাল আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ের আগে দুর্নীতির অনেক রাঘববোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন। আর বীমা করপোরেশনের জালিয়াতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খুলে রাষ্ট্রীয় সংস্থা সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) আয় থেকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। চক্রটির নেতৃত্ব দিয়েছেন এ সংস্থারই প্রধান কার্যালয়ের অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের ব্যবস্থাপক আবুল কাশেম। ১০ বছর ছয় মাস ধরে এ কা- ঘটে চললেও এসবিসি ছিল পুরোপুরি অন্ধকারে।

সর্বশেষ খবর