বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আজ শুরু বইমেলা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বাংলা একাডেমির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী প্রাণের বইমেলা। বিকাল ৩টায় গণভবন থেকে এবারের মেলা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

জাতির পিতার জীবন ও কর্ম-অধ্যয়ন এবং স্বাধীনতার মর্মবাণী জাতীয় জীবনে যাতে প্রতিফলিত হয় তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত আমার দেখা নয়াচীন-এর ইংরেজি অনুবাদ NEW CHINA 1952 -এর মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০  প্রদান করা হবে।  বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে এবারের মেলায় একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট; মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, লিটলম্যাগ চত্বর ও শিশুচত্বরও থাকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না। ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল থাকছে এ বছরের মেলায়। আর মেলার কার্যক্রম প্রচারের জন্য বাংলা একাডেমির বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে। প্রকাশকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশপথ ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবমিলে সোহরাওয়ার্দীতে ৩টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বের হওয়ার পথ থাকবে। প্রত্যেক প্রবেশ পথে সুরক্ষিত ছাউনি থাকবে, যাতে বৃষ্টি ও ঝড়ের মধ্যে মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। মেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩ শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়কেন্দ্রিক আলোচনার পাশাপাশি বরেণ্য বাঙালি মনীষার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন এবং গত এক বছরে প্রয়াত বিশিষ্টজনদের জীবন ও কৃতী নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২০ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২০ বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২০ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ-বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর