রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্রীড়ায় বিস্ময়কর উত্থান

মেজবাহ্-উল-হক

ক্রীড়ায় বিস্ময়কর উত্থান

স্বাধীনতার ৫০ বছরে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অগ্রগতির পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে ঘটেছে বিস্ময়কর উত্থান। ক্রিকেটে (অনূর্ধ্ব-১৯) বাংলাদেশ এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। মেয়েদের এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব লাল-সবুজের হাতে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একসঙ্গে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০তে সেরা অলরাউন্ডার হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন সাকিব আল হাসান।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দাবায় প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন বাংলাদেশের নিয়াজ মোর্শেদ। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ২০ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন প্রথম নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার রানী হামিদ। টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার নারী এককে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছেন জোবেরা রহমান লিনু।

গলফে দুবার এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জিতেছেন সিদ্দিকুর রহমান। আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনি (যুগ্মভাবে) এবং আসিফ হোসেন খানের হাত ধরে দুবার কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ।

ফুটবলে কাজী সালাউদ্দিনই উপমহাদেশের প্রথম খেলোয়াড় যিনি উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে পেশাদার লিগ খেলেছেন।

আর্চারিতে রোমান সানা নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের

পর ৫০ বছরে খেলাধুলায় বাংলাদেশের সাফল্য যেন বিশ্বকেই অবাক করে দিয়েছে।

ক্রিকেট : বাংলাদেশ হচ্ছে ক্রিকেটের দেশ। এক ক্রিকেটপাগল জাতি। ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্যও এসেছে ক্রিকেট থেকে। বাংলাদেশ এখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। যে তরুণরা আগামীতে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবে তাদের প্রতিযোগিতায় সেরা লাল-সবুজরা। এ শিরোপাই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য এক উচ্চতায়। শুধু ছোটদের ক্রিকেটে নয়, বড়দের ক্রিকেটেও এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। ক্রিকেট-বিশ্বে টাইগাররা এখন শক্তিশালী এক দল। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান তো পুরো ক্রিকেট-বিশ্বেরই সম্রাট। ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একসঙ্গে তিন ফরম্যাটের (টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০) ক্রিকেটে অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকার কৃতিত্ব কেবল সাকিবেরই আছে। ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছেন তিনি। এমন রেকর্ড আর কারও নেই। এ ছাড়া দলীয় সাফল্য তো আছেই। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আকরাম খানের বাংলাদেশ। ওই আসরে ক্যারিশমা দেখানোর পুরস্কার হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় একই বছর ওয়ানডে স্ট্যাটাসও পেয়ে যান টাইগাররা। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপর দেশের ক্রিকেটের সাফল্যের গ্রাফটা বাড়তে থাকে জ্যামিতিক হারে।

১৯৯৯ সাল থেকে টাইগাররা বিশ্বকাপের মতো আসরে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় বেশ নজরও কাড়ছে। বাঘা বাঘা দলকে পরাস্ত করে দুবার বিশ্বকাপের সেরা আটেও খেলার কৃতিত্বও আছে।

২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে ভারতের মতো দলকে বিদায় করে প্রথমবারের মতো সুপার-এইটে খেলার টিকিট পায় লাল-সবুজরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এ ছাড়া ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে একাধিকবার নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তিকে হোয়াইটওয়াশ এবং ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিরুদ্ধে সিরিজ তো আছেই।

২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে বাজিমাত করে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাংলাদেশ। আর এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা তো এখন নিয়মিত ব্যাপার। 

মর্যাদার আসর এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট ইভেন্ট থেকেও বাংলাদেশ স্বর্ণপদক জিতেছে একাধিকবার। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেটেও এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এশিয়া কাপ জয়ের কৃতিত্ব আছে বাংলার মেয়েদের। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যাপ্টেন সালমার দল। সব মিলে ক্রিকেট-বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি। সাকিব ছাড়াও বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমানের খ্যাতি এখন বিশ্বজোড়া। ক্রিকেটে আয়োজক হিসেবেও আছে ব্যাপক সুনাম। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করে বাংলাদেশ। এ ছাড়া একবার ‘মিনি বিশ্বকাপ’ এবং দু-দুবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মতো মর্যাদার আসর সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করার কৃতিত্বও আছে।

ফুটবল : স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। উপমহাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে কাজী সালাউদ্দিন ১৯৭৬ সালে হংকং পেশাদার লিগে খেলেন। সে সময় এশিয়ায় হংকংয়ের পেশাদার ফুটবল লিগ এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে, ইউরোপের বড় বড় তারকারাও সেখানে খেলতে আসতেন। এ ছাড়া দেশের বাইরে ফুটবল খেলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মোনেম মুন্না, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ইমজিয়াজ সুলতান জনি, কায়সার হামিদ, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বির, গাউস, মানুনুল ইসলাম। ভারতের জনপ্রিয় ক্লাব কলকাতা মোহামেডান সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে দলপতি বানিয়েছে। দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা ১৯৮৯ সালে। প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ছাইদ হাছান কাননের দল।  বাংলাদেশ দু-দুবার সাফ গেমসে (১৯৯৯ ও ২০১০ সাল) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও শিরোপা জয় করে লাল-সবুজরা।

১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ওই আসরে বাকি তিন দল ছিল স্বাগতিক মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর ও চাইনিজ তাইপে। মেয়েদের ফুটবলেও আসছে সাফল্য। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলার মেয়েরা।

হকি : এক সময় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ছিল হকি। ’৭০-৮০-র দশকে ঢাকার লিগ ছিল খুবই জমজমাট। বিশ্বমানের খেলোয়াড়ও ছিল বাংলাদেশে। ১৯৮৬ সালে হকির বিশ্ব একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের জামাল হায়দার। তিনটি ম্যাচেও তিনি অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে হকির তারকা জুম্মন লুসাইও বিশ্ব একাদশের হয়ে মর্যাদাপূর্ণ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। 

১৯৮৫ সালে ইরানের বিরুদ্ধে জুম্মন লুসাই বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। ওই টুর্নামেন্টে হকির পরাশক্তি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হারলেও গোটা এশিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা পায় বাংলাদেশ হকি দল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হকি ফেডারেশন ও সংগঠকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা দেন।

আয়োজক হিসেবেও হকিতে বেশ সাফল্য আছে বাংলাদেশের। ১৯৮৫ ও ২০১৭ সালে এশিয়া কাপের আয়োজন হয়েছে ঢাকায়।

শুটিং : শুটিংয়েও সাড়া জাগানো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। ১৯৯০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের মতো বৈশ্বিক আসরে যুগ্মভাবে স্বর্ণপদক লাভ করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন দুই শুটার আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনি। এর এক যুগ পর আবারও বিশ্বমঞ্চে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে আবারও সোনা জেতেন বাংলাদেশের আরেক কৃতী শুটার আসিফ হোসেন খান।

গলফ : সাফল্যের বিচারে তালিকার ওপরের দিকেই থাকবে গলফ। সোনার ছেলে সিদ্দিকুর রহমান একাই দু-দুবার এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জিতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন। ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন এবং ২০১৩ সালে হিরো ইন্ডিয়া ওপেনের শিরোপা জয় ছাড়াও ইউরোপিয়ান ট্যুরের আসরেও বেশ সাড়া ফেলেছেন সিদ্দিকুর। বিবিসির মতো মিডিয়াতেও তাকে নিয়ে ছাপা হয়েছে কিছু ফিচার স্টোরি। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম গলফার সিদ্দিকুর রহমান।

আর্চারি : ২০১৮ সালে আর্চারিতে বিস্ময়কর উত্থান হয় বাংলাদেশের। নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন রোমান সানা। ২০১৯ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে বাংলাদেশের আর্চারি দল তো রীতিমতো চমক সৃষ্টি। আসরের ১০ ইভেন্টের সবকটিতে স্বর্ণপদক জেতে বাংলাদেশ। ওই আসরে সর্বমোট ১৯টি সোনা জিতে ছিল লাল-সবুজরা।

অ্যাথলেটিকস : অ্যাথলেটিকসেও সাফল্য আছে বাংলাদেশের। ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে অ্যাথলেট শাহ আলম একাই দু-দুবার দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে সাফ গেমসে দ্রুততম মানব হয়েছিলেন বিমল তরফদার।

সাঁতারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন মোশারফ হোসেন। ১৯৮৫ সালের সাফ গেমসে এ ইভেন্ট থেকে একাই পাঁচটি স্বর্ণপদক লাভ করেন।

দাবা : ইনডোর গেম দাবাতেও এসেছে দারুণ সাফল্য। দাবায় তো বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাপিয়ে গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েছে লাল-সবুজরা। ১৯৮৭ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন বাংলাদেশের নিয়াজ মোর্শেদ। এর এক বছর পর ভারত তাদের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার (বিশ্বনাথন আনন্দ) পেয়েছিল। সব মিলে বাংলাদেশে এখন পাঁচজন গ্র্যান্ডমাস্টার- নিয়াজ মোর্শেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, আবদুল্লাহ আল রাকীব ও এনামুল হোসেন রাজীব।

মেয়েদের দাবায় রানি হামিদ তো কিংবদন্তি। ১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাব পাওয়া এ তারকা এখন পর্যন্ত ২০বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন। তিনবার ব্রিটিশ ওমেন্স চেজ চ্যাম্পিয়নশিপেও শিরোপা জিতেছেন তিনি। ৭৫ বছর বয়সে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রানি হামিদ।

টেবিল টেনিস : টেবিল টেনিসে বিস্ময় এক নাম জোবেরা রহমান লিনু। তিনি টানা ১৬বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন। বিশ্ব টেবিল টেনিসের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর নেই। বাংলাদেশের একমাত্র পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে নাম লিখিয়েছেন ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড’-এ।

এ ছাড়া এশিয়ার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কাবাডি থেকেও পদক পেয়েছে লাল-সবুজরা। সব মিলে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যে সাফল্য এসেছে, অনেক আগে স্বাধীন হওয়া দেশও ক্রীড়ায় এমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ক্রীড়া ঐক্যের প্রতীক। সব বিভাজনকে দূরে ঠেলে ভিন্ন মত-পথের মানুষকে সহজেই নিয়ে আসে এক ছাতার নিচে। দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী পন্থা হচ্ছে খেলাধুলা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে খেলাধুলার বিস্ময়কর সাফল্য বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর