বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

প্রধানমন্ত্রীকে মেসেজ পাঠিয়ে স্বপ্ন পূরণ রানী বেগমের

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে আল্লায় যেন বেশি দিন বাঁচাইয়া রাহেন। তাঁর দয়ায় আমি একটা ঘর ও ১০ হাজার টাহা পাইছি। আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নাই। আল্লার কাছে দোয়া করি, শেখ হাসিনা যেন আমাদের মতো গরিব মানুষেরে সাহায্য করতে পারেন আর দেশের উন্নতি করতে পারেন।’

আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের মো. সহিদুল মোল্লার স্ত্রী ও তিন সন্তানের (দুই মেয়ে ও এক ছেলে) জননী রানী বেগম (৩৫)। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। ১৫/২০ দিন আগে তিনি তার মোবাইল থেকে একটি মেসেজ পাঠালে এর ৩/৪ দিন পরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন দিয়ে তার সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি অবস্থা জানতে চাইলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন। তার কয়েকদিন পরেই তাকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার ফোন দেন এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়ার কথা বলেন। সবকিছ যেন তার কাছে স্বপ্নের মতো। তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লে তার চোখে জল আসে। তিনি তখনো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, এত তাড়াতাড়ি এতকিছু সম্ভব। পরের দিন আমখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসীলদার তাকে ফোন দিয়ে তার কাছে আসেন। তাকে ঘর দেওয়ার জন্য সরকারি জায়গা ঠিক করেন। তিনি সত্যিই হতবাক হয়ে গেছেন। তার কাছে পুরোটাই এখনো স্বপ্ন মনে হচ্ছে। রানী বেগম আরও জানান, ছোট বেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার, একটু কথা বলার। তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি তার মেসেজের উত্তর পেয়েছেন। তিনি আজ কতটা আনন্দিত ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষাও যেন তার জানা নেই। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার আমখোলা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রানী বেগমের জন্য বরাদ্দকৃত ঘরের জায়গাসহ আনুসঙ্গিক ও ছেলে মেয়ের পড়াশুনার জন্য ১০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন।

সর্বশেষ খবর